মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জে।
স্ত্রী চিৎকার করে পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্য চাইছেন, হাসপাতালে নিয়ে যেতে কাকুতি-মিনতি করছেন। প্রচণ্ডজ্বরেঅচেতনহয়েপড়েআছেলোকটি। কিন্তু লোকটি করোনায় আক্রান্ত, এই সন্দেহে কেউ কাছে ঘেঁষছে না।
স্ত্রী হটলাইনে ফোন দিচ্ছেন, অ্যাম্বুলেন্স ডাকার চেষ্টা করছেন, জেলা-উপজেলার হাসপাতালে কল দিচ্ছেন কিন্তু কোথাও থেকে একটু সাড়া মেলেনি। কলকরেছেনপুলিশ, ফায়ারসার্ভিসকেও, এখানেওফলাফলশূন্য। অবশেষে সব চিৎকার আর কাকুতি-মিনতিকে ছাপিয়ে শনিবার সকালে লোকটি চিরবিদায় নেন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন ওই লোক।
হালকা জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে গত মঙ্গলবার বগুড়ার বাড়িতে যান। স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ সেবন করছিলেন। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। বাড়িতে স্ত্রী এবং আট বছরের মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। উপায়ন্তর না দেখে প্রতিবেশীদের ডাকেন স্ত্রী। কিন্তু কেউ ওই রোগীর কাছে আসতে রাজি না। আইইডিসিআরের হটলাইনেও অনেক চেষ্টা করেছেন। কোনো সাড়া মেলেনি।
সকালবেলা হটলাইনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে জেলা সিভিল সার্জন ওই বাড়িতে একজন চিকিৎসক পাঠান। চিকিৎসক বাড়িতে গিয়ে নিশ্চিত করেন, লোকটি বেঁচে নেই! বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিক আমিন বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হোক বা না হোক, চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার সবার আছে।
কিন্তু সময়মতো আমরা কেউ তার পাশে দাঁড়াতে পারিনি। ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন ওই পরিবার। আশপাশের ২৫টি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।


0 coment rios: